Start a Blog (and Make Money online) in 8 steps: Easy and Fast
Table of Content
- ভূমিকা
- প্রফেশনাল ওয়েবসাইট
- ব্লগিং শুরু করার আগে
- জনপ্রিয় কিছু ব্লগিং টপিক
- ব্লগ কিভাবে শুরু করবেন?
- ব্লগ পোস্ট লেখার সময় নিম্নলিখিত নিয়মাবলী অনুসরণ করতে পারেন
- প্রচার
- আপনার ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জন করবেন যেভাবে!
- উপসংহারঃ
ভূমিকা
আপনি হয়তো এখন পর্যন্ত জানেন না যে, বাংলা ভাষাবাসী সহ অনান্য যেকোনো ভাষায় লেখালেখি করে ও একটি জনপ্রিয় ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারেন। আপনি হয়ে জেতে পারেন একজন সফল ব্লগার সাথে থাকছে উপার্জন। আপনি চাইলে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারেন একদম ফ্রিতে গুগল Blogspot.com ব্লগস্পট ডটকম থেকে। কোনো ধরনের টাকা পয়সা খরচ করা ছাড়াই ওয়েবসাইটটি তৈরি করতে পারবেন।
আবার যদি ৮০০/ ৯০০ টাকা খরচ করে একটি টপ-লেভেল ডোমেইন (যেমনঃ www.tipserdokan.com .net .org) কিনতে পারেন তাহলে একটি ব্র্যান্ড নিয়ে আরেকটু ভালো করে ওয়েবসাইটটি তৈরি করতে পারবেন।
আর যদি প্রফেশনালী তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের টাকা।
Start a Blog and Make Money online its a common talk, Actually nothing is free!!
প্রফেশনাল ওয়েবসাইট
নিন্মে তার কিছু ডিটেলস দেয়া হলো:
- টপ লেভেল ডোমেইন কিনতে হবে।
- হোস্টিং কিনতে হবে।
- প্রিমিয়াম ওয়ার্ডপ্রেস থিম কিনতে হবে।
- অ্যাডভান্স লেভেল এর কিছু প্লাগ-ইন কিনতে হবে।
যাইহোক আপনি যত টাকা ইনভেস্ট করতে পারেন ঠিক ততটাই প্রফেশনাল ভাবে Create করতে পারবেন। তারপরে আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে বেশ কিছু কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট প্রচার করে Adx, Ezoic, Google AdSense, Sponsorship, Affiliate Marketing etc. এর মত অ্যাড প্ল্যাটফর্ম থেকে Monetization নিয়ে আর্নিং করতে পারেন।
ব্লগিং শুরু করার আগে!
ব্লগিং শুরু করার আগে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার সিদ্ধান্ত! মানি টপিক বা বিষয়বস্তু ঠিক করা। আপনার Niche কি? আপনি কোন বিষয়ের উপরে ব্লগ করতে চাচ্ছেন? বিষয়বস্তু ঠিক করার সঠিক ও সহজ উপায় হলো আপনি যেই বিষয়টির সম্পর্কে ভালো জানেন। আপনি যদি কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হন তাহলে তো আর কোন কোথায় নেই শুরু করে দিন। সবসময় চেষ্টা করবেন ক্লিয়ার ও মানসম্পন্ন কন্টেন্ট লিখার। এমন ভাবে লিখবেন যেন, এই লেখাগুলি থেকে আপনি নিজেও উপকৃত হন। তাহলেই জনপ্রিয়তা পাবেন।
জনপ্রিয় কিছু ব্লগিং টপিক :
১. অটো ও যানবাহন। ২. অনলাইন থেকে কিভাবে টাকা উপার্জন করা যায়। ৩. আইন ও সরকার। ৪. ইন্টারনেট ও টেলিকম। ৫. কেনাকাটা। ৬. কম্পিউটার ও ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস। ৭. খেলাধুলা। ৮. ব্যবসা ও বাণিজ্য। ৯. বাড়ি ও বাগান। ১০. বিজ্ঞান। ১১. সমাজ। ১২. স্বাস্থ্য ও ফিটনেস। ১৩. শিল্পকলা। ১৪. বিনোদন , প্রতিবেদন সংবাদ ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল । ১৫. ভ্রমণ গাইড। ১৬. বই ও সাহিত্য। ১৭. চাকরি ও শিক্ষা। ১৮. গেম। ১৯. খাদ্য ও রান্না। ২০. প্রযুক্তি ও গ্যাজেট।
ব্লগ কিভাবে শুরু করবেন?
সিদ্ধান্ত নিবেন কোন ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করবেন Free নাকি Paid. যদি Paid হয় তাহলে আপনার Bugged কত ?
- কিসের উপরে ব্লগ লিখবেন তার Niche খুঁজে বের করুন।
- আপনার ব্লগ সাইট এর সাথে মিল রেখে সুন্দর একটি ব্লগসাইটের নাম খুঁজে বাহির করবেন।
- পছন্দের নামটি দিয়ে একটি ডোমেইন খরিদ করে নিবেন।
- অনলাইনে স্টোর করার জন্য ওয়েব হোস্টিং খরিদ করে নিবেন।
- ডোমেইনের সাথে হোস্টিং কানেক্ট করে সিপ্যানেলে গিয়ে ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করে নিবেন।
- আপনার ওয়েবসাইটটিকে একটি ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস থিম অথবা (Paid) প্রিমিয়াম থিম দিয়ে সাজান।
- ঠান্ডা মাথায় ব্লগ লেখা শুরু করে দিন।
ব্লগ পোস্ট লেখার সময় নিম্নলিখিত নিয়মাবলী অনুসরণ করতে পারেন:
- আপনার নিশের সাথে মিল রেখে আপনার পছন্দ অথবা আপনার পাঠকরা যে বিষয়ে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে সে বিষয়ে একটি টপিক খুঁজে বের করুন।
- উদ্দেশ্য খুঁজে বের করুন যে, কেন লিখবেন ?
- একাধিক তথ্য সংগ্রহ করুন: আপনার কথাগুলির সত্যতা বজায় রাখতে বিশ্বস্ত কোন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন এবং নোট করে রাখুন। অপ্রয়োজনীয় কোন তথ্য দিবেন না।
- আউটলাইন তৈরি করুন, যেমনঃ কি কি লিখবেন? কয়টা হেডিং থাকবে, কয়টা সাব হেডিং থাকবে, কোন পয়েন্টটি কোন হেডিং এ বসাবেন। সংক্ষিপ্ত ও সারাংশ হিসেবে লিখবেন যাতে করে আপনার পাঠকদের জন্য ব্যক্তিগত ও উপযুক্ত হয়। লেখার সাথে পিকচারের মিল রাখবেন। সবকিছু মিলিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখবেন যেন একটা পাঠকের বুঝতে অনেক সহজ হয়। অবশ্যই সমাপ্তি অন্তর্ভুক্ত করবেন।
- প্রস্তাবনা: পাঠকদেরকে আকর্ষণ করতে পোস্টের উদ্দেশ্যে স্পষ্টভাবে ভাবে লিখুন এবং তারা কি প্রত্যাশা করতে পারে তা নিশ্চিত করুন।
- কন্টেন্টের ইউআরএল (URL) ইংলিশ হতে হবে যাতে CPC বাড়ে এবং সার্চ ভলিউমের ম্যান ও বাড়ে। তাতে করে আবার SEO এর কাজ ও করবে।
- আপনার ওয়েবসাইটটিতে SEO Friendly পোস্ট লিখার চেষ্টা করবেন তাতে ফ্রি ভিজিটর পাওয়া যাবে।
- আপনার পোস্টটি কমপক্ষে একহাজার শব্দের হতে হবে যদি Google Ranking এর প্রথম কাতারে থাকতে চান। লিখায় বিশেষ বিশেষ তথ্য রাখবেন। যেন, ভিজিটর আপনার সাইটটিতে বেশিক্ষণ থাকে, তাহলে গুগল মনে করবে লেখাতে দম আছে। ঠিক তখনি সার্চ র্যাঙ্কিং এ আগে বাড়াবে।
- একটি পোস্টের ভিতরে Same related আরেকটি পোস্টের লিংক জুড়ে দিবেন এতে ফ্রি ভিজিটর বাড়বে।
- ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট: আপনার পোস্টের ভিতরে ছবি অথবা ভিডিও যুক্ত করে পাঠকদেরকে বুঝতে সহজ করুন।
- গুগলে কোন বিষয়ের উপরে বেশি বেশি খুঁজাখুঁজি হচ্ছে সেই বিষয়বস্তু খুঁজে বের করে সেই বিষয়ের উপরে লেখার চেষ্টা করবেন। বেশি বেশি পোস্ট করবেন ও FAQ – প্রশ্ন এবং উত্তর রাখবেন আপনার ব্লগ পোস্টের ভিতরে তাতে অনেক বেশি ভিজিটর পাওয়া যায়।
- নজরদারি এবং বিশ্লেষণ : অ্যানালাইটিক্স টুলগুলি use করে আপনার ওয়েবসাইটে থাকা সকল পোস্টগুলি কার্যক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করে দেখবেন সমস্যা থাকলে অবশ্যই সমাধান করে নিবেন।
প্রচার
ব্লগটি লেখার পরে পাবলিস্ট করবেন তারপরে সামাজিক যুগাযুগের মাধ্যমে প্রচার করবেন। সামাজিক যুগাযুগে প্রচার করা একটি প্রবাবশালী উপায়। প্রচার করার জন্য কিছু প্লাটফর্ম উল্লেখ করা হলো যেমনঃ ফেইসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন, ই-মেল মার্কেটিং।
- Facebook : আপনার ওয়েবসাইটের নাম দিয়ে একটি পেজ অথবা গ্রুপ তৈরি করুন এবং সেখানে শেয়ার করে প্রচার করুন।
- Twitter : টুইটারে ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে আপনার ব্লগ পোস্টটি শেয়ার করুন।
- Instagram : ইনস্টাগ্রামে ছবি সহ স্টোরি পোস্ট করে আপনার ব্লগ পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।
- Linkedin : লিংকডইনে ছবি ও মতামত সহ পোস্টটির লিংক শেয়ার করুন।
- e-Mail marketing : আপনার সাবস্ক্রাইবারদের সাথে সাপ্তাহিক ইমেইল করে পোস্ট গুলি শেয়ার করুন।
আপনার ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জন করবেন যেভাবে!
অর্থ উপার্জনের জন্য অনেক ধরনের পথ খুলা আছে দরকার শুধু অবলম্বন করা। যেমনঃ
১. গুগল এডসেন্স থেকে মনিটাইজেশন নিয়ে।
গুগল এডসেন্স থেকে মনিটাইজেশন পেতে হলে আপনাকে গুগল এডসেন্স এর সম্পূর্ণ প্রোজনীয়তা মেনে চলতে হবে। ১. কোন ধরনের কপিরাইট কন্টেন্ট থাকতে পারবেনা। ২. গুণগত ও মূল্যবান কন্টেন্ট হতে হবে। ৩. পুনরায় ব্যবহার করা কনটেন্ট থাকতে পারবেনা। ৪. ব্লগ পোস্টটি অন্ততপক্ষে এক হাজার শব্দের বেশি হতে হবে। ৫. নিজের ব্লগসাইটে নিজেই বারবার ভিজিট করলে অর্গানিক ভিজিটর হিসেবে গণ্য করা হবেনা, ইত্যাদি ইত্যাদি।
২. স্পন্সরশিপ এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে।
আপনার ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে অন্যের প্রচার প্রচারণা, সেবা অথবা অন্যান্য পণ্য সম্পর্কে বিজ্ঞাপন বিনিময়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
৩. প্রিমিয়াম কন্টেন্ট।
আপনার লিখতে যদি আকর্ষণীয় কিছু থাকে যার থেকে মানুষ উপকার পায় বা শিক্ষণীয় প্রশিক্ষণ থাকে তাহলে বিশেষ সাবস্ক্রাইব এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম কন্টেন্ট বিক্রি করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
৪. প্রোডাক্ট বিক্রি করে।
আপনার ব্লগ সাইট থেকে পোস্টের মাধ্যমে আপনার নিজের বা অন্যের পণ্য বা সেবা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
৫. স্বাধীন লেখালেখি করে।
আপনি অনলাইনের যেকোনো ব্লগিং প্লাটফর্মে লেখালেখি করতে পারেন এবং সেগুলিকে বিক্রি করেও অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
উপসংহারঃ
যারা সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় সময়, শক্তি এবং প্রতিশ্রুতি বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত তাদের জন্য একটি ব্লগ / ওয়েবসাইট শুরু করা এবং অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা একটি বাস্তবসম্মত এবং পরিপূর্ণ প্লাটফর্ম। চমৎকার একটি বিষয়বস্তু সিলেক্ট করে আপনি একটি সফল অনলাইন সংস্থা (ব্লগ / ওয়েবসাইট) বেছে নিতে পারেন। তারপরে আপনার অভিজ্ঞতা দিয়ে কিছু valuable content পোস্ট করে নিবেদিত অনুসারীদের বিকাশ ও ভাল নগদীকরণের কৌশলগুলি স্থাপন করতে পারেন।
নোট : আশা করি উপরোক্ত ধারাবাহিকতা অনুসরণ করলে আপনার ব্লগ পোস্টগুলির গুণগত পরিমাণ এবং পাঠকদের সংস্পর্শ পেয়ে আপনার ব্লগ / ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর জন্য সাহায্য করতে সক্ষম হবে।